খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিপাকে।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১:১৫ অপরাহ্ণ
সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিপাকে।

‎ঘটকের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও মিলছে না শিউলি আক্তার পিংকির ২ মাসের কন্যা সন্তানের স্বীকৃতি ও স্ত্রীর অধিকার। দক্ষিণ ধামারণ এর সোবহান শেখের ছেলে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন শেখ তোয়াক্কা করেন না চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের। স্ত্রী-সন্তানের অধিকার ক্ষুন্ন করে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। এ বিষয়ে রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে টঙ্গীবাড়ি থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন ভুক্তভোগী পিংকি যার জিডি নং-১১১৫।

‎ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ মে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার আড়িয়ল দক্ষিণ কুরমিরার দরিদ্র বাবুল সাজীর মেয়ে শিউলী আক্তার পিংকি (৩১) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই থানার ‎অন্তর্গত কাঠাদিয়া-শিমুলিয়ার দক্ষিণ ধামারন গ্রামের সোবহান শেখের ছেলে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন শেখ (৪৬) এর সাথে। এটি পিংকির দ্বিতীয় বিয়ে হলেও জাকিরের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে প্রবাসী এক ছেলের সাথে টেলিফোনে পিংকির বিয়ে হলেও তা আর সংসার জীবনে গড়ায়নি। তবে জাকির শেখ এর আগে ২টি বিয়ে করে এবং তার পূর্বের সংসারের ২টি ছেলে মেয়ে রয়েছে।

‎ভুক্তভোগি পিংকির অভিযোগ- বিয়ের শুরুর ১ মাস সবাই আমার সাথে ভাল ব্যবহার করলেও যখন আমি গর্ভবতি হই, তখন থেকেই জাকির ও তার ছোট বোন ছানোয়ারা আক্তার(৩৫) এবং আগের সংসারের ২ ছেলেমেয়ে সহ পরিবারের সবাই দিন রাত আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং মারধর সহ আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। যা সইতে না পেরে এক পর্যায়ে আমি এক কাপরে বাবার বাড়ি চলে আসি।

‎পিংকির অভিযোগ- মূলত আমার স্বামীর আগের ঘরের ২টি সন্তান থাকা সত্ত্বেও কেনো আমি নিজে সন্তান নিলাম, এটাই ছিল আমার একমাত্র অপরাধ। এমনকি এই সন্তানটি অবৈধভাবে গর্ভপাত করানোর জন্যও আমার স্বামী ও তার বোন আমাকে জোড় করে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সব শেষে ৪ মাসের গর্ভাবস্থায় এসব অত্যাচার সইতে না পেরে আমি বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেই। তখন জাকির আমাকে হুমকি দিয়েছিল ভবিষ্যতে যেনো এই সন্তানের পিতৃপরিচয় না চাই। আমার সন্তান ও আমাকে সে জানে মেরে ফেলার অশংকা করছেন। জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং শভা সাথে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। তাই তার ও শিশু কন্যার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে টঙ্গীবাড়ি থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন তিনি।

এ বিষয় একাধিক বিবাহকারী স্বামী জাকির হোসেন শেখের সেল ফোন ০১৭৬৬২৮০৬৪৮ নাম্বারে একাধিক ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।

‎এদিকে টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, জিডির বিষয়টি তদন্ত করে ভুক্তভোগি ও তার শিশু সন্তানের আইনগত অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়টি দেখা হবে।

সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৫:২৯ অপরাহ্ণ
সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামসেদ ফরিদী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আবু সাঈদ শুভ্র, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম, সিরাজদিখান থানার (ওসি) শাহেদ আল মামুন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গুল রাওশন ফেরদৌস, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমন মধু, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা কামরুন নেছা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মরিউম আক্তার, সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসান মুকুট, উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ১৪টি ইউপির সচিববৃন্দ।

টঙ্গীবাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক দ্বিমাসিক সমন্বয় সভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
টঙ্গীবাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক দ্বিমাসিক সমন্বয় সভা

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করন (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের অধীনে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে সকল ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর দের নিয়ে দ্বিমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান ।

এতে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের মামলার বর্তমান চিত্র, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পাদনের চ্যালেন্জ সমুহ ও ইহা থেকে উত্তোরনের উপায় সহ গ্রাম আদালত আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গ্রাম আদালত সক্রিয় ও বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা পদান করেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রাম আদালত প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী লিয়াকত হোসেন ও সালাউদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ইতিবাচক প্রভাব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ইতিবাচক প্রভাব

টেকসই উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কার্যক্রমের লক্ষ্য মূলত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা, কৃষি খাতকে শক্তিশালী করা, শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ানো, তরুণ উদ্যোক্তা গড়ে তোলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ব্যাংকটি দীর্ঘমেয়াদি কমিউনিটি উন্নয়ন কার্যক্রমে অব্যাহত রয়েছে। গত পাঁচ বছরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এসব উদ্যোগের মাধ্যমে ১ কোটি ৮০ লক্ষাধিক মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যাংকিংয়ে সীমাবদ্ধ নয়। ২০২৪ সালে আমাদের সমাজসেবা কার্যক্রমগুলো দেশের নানা অঞ্চলে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে- কৃষক, যুবক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের সহায়তায় কাজ করেছে। ম্যানগ্রোভ রোপণ থেকে শুরু করে

কৃষি উদ্ভাবনে অর্থায়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে চোখের যত্ন নিশ্চিতকরণ, এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং, বিটপি দাস চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অংশীদার ও কমিউনিটিগুলো সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের চালক। এই যাত্রায় তাদের পাশে থেকে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ বছরের প্রতিটি সাফল্য কেবল সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়- প্রতিটি মাঠ, ঘর, পলিহাউস আর মৌচাকে গড়ে উঠেছে আশার

গল্প, আত্মমর্যাদা আর টিকে থাকার অনুপ্রেরণা।’
বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এই কার্যক্রমগুলো হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর বিস্তৃত কৌশলের অংশ। ‘হেয়ার ফর গুড’ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ব্যাংকটি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে, ১২০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত আছে। এই দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষায় অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে, যা বাংলাদেশের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে আসছে।