খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

টঙ্গীবাড়ীতে কবরস্থান থেকে ১৪টি কঙ্কাল চুরি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ণ
টঙ্গীবাড়ীতে কবরস্থান থেকে ১৪টি কঙ্কাল চুরি


গতকাল মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল আনুমানিক রাত ৮.০০ মিনিট হইতে ৩০ এপ্রিল বুধবার সকাল ৬.০০ মিনিটে কঙ্কাল চুরির এই ঘটনা ঘটেছে।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার যশলং কবরস্থান থেকে এক রাতেই ১৪টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল ওই কবরস্থানের বিভিন্ন পুরোনো কবর খুড়েঁ কঙ্কালগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে কঙ্কালগুলো চুরি হয়। গতকাল বুধবার সকালে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পারেন। এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

ভিটি মালধা গ্রামের বাসিন্দা পনির মোল্লা বলেন, গতকাল আমার মা মারা গেছে। সকালে মায়ের কবর খুঁড়তে এসে দেখা যায় পাশের কয়েকটি কবর খোরা। পরে লোকজন খবর দিলে তারা এসে দেখে গোরস্থানে প্রায় ১৬টি কবর খোরা রয়েছে। যারা এসব কাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং পরবর্তীতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।

স্থানীয় সুমন মোল্লা নামের এক ব্যক্তি বলেন, কবর খুঁড়ে আমার বাবার লাশ এর মাথা ছিঁড়ে নিয়ে গেছে। তবে লাশের বাকি অংশ কবরে রয়েছে।

এলাকাবাসী বলেন, আজ ভোরে কয়েকজন স্বজন ওই কবর জিয়ারত করতে যান। এ সময় তাঁরা কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের খবর দেন। লোকজন এসে ১৬টি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান।

গোরস্থান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তার শেখ বলেন, গোরস্থানে এসে দেখি বেশ কয়েকটি কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছে তবে প্রায় ৭/৮টি কবরের কঙ্কাল পাওয়া যায়নি।

যশলং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু সালাম শেখ বলেন, আমি খবর পেয়ে গোরস্থানে এসে দেখি ১৪টি কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে।

এদিকে কঙ্কাল চুরির খবর পেয়ে এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে গিয়ে ভিড় করেন। বেশ কয়েকজন স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশলং এই কবরস্থান থেকে এভাবে কঙ্কাল চুরির ঘটনা এ এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। এটা আতঙ্কিত হওয়ার মতো একটি ব্যাপার। যাতে পরবর্তীতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

টঙ্গীবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৫:২৯ অপরাহ্ণ
সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামসেদ ফরিদী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আবু সাঈদ শুভ্র, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম, সিরাজদিখান থানার (ওসি) শাহেদ আল মামুন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গুল রাওশন ফেরদৌস, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমন মধু, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা কামরুন নেছা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মরিউম আক্তার, সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসান মুকুট, উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ১৪টি ইউপির সচিববৃন্দ।

টঙ্গীবাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক দ্বিমাসিক সমন্বয় সভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
টঙ্গীবাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক দ্বিমাসিক সমন্বয় সভা

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করন (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের অধীনে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে সকল ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর দের নিয়ে দ্বিমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান ।

এতে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের মামলার বর্তমান চিত্র, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পাদনের চ্যালেন্জ সমুহ ও ইহা থেকে উত্তোরনের উপায় সহ গ্রাম আদালত আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গ্রাম আদালত সক্রিয় ও বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা পদান করেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রাম আদালত প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী লিয়াকত হোসেন ও সালাউদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ইতিবাচক প্রভাব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ইতিবাচক প্রভাব

টেকসই উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কার্যক্রমের লক্ষ্য মূলত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা, কৃষি খাতকে শক্তিশালী করা, শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ানো, তরুণ উদ্যোক্তা গড়ে তোলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ব্যাংকটি দীর্ঘমেয়াদি কমিউনিটি উন্নয়ন কার্যক্রমে অব্যাহত রয়েছে। গত পাঁচ বছরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এসব উদ্যোগের মাধ্যমে ১ কোটি ৮০ লক্ষাধিক মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যাংকিংয়ে সীমাবদ্ধ নয়। ২০২৪ সালে আমাদের সমাজসেবা কার্যক্রমগুলো দেশের নানা অঞ্চলে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে- কৃষক, যুবক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের সহায়তায় কাজ করেছে। ম্যানগ্রোভ রোপণ থেকে শুরু করে

কৃষি উদ্ভাবনে অর্থায়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে চোখের যত্ন নিশ্চিতকরণ, এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং, বিটপি দাস চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অংশীদার ও কমিউনিটিগুলো সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের চালক। এই যাত্রায় তাদের পাশে থেকে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ বছরের প্রতিটি সাফল্য কেবল সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়- প্রতিটি মাঠ, ঘর, পলিহাউস আর মৌচাকে গড়ে উঠেছে আশার

গল্প, আত্মমর্যাদা আর টিকে থাকার অনুপ্রেরণা।’
বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এই কার্যক্রমগুলো হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর বিস্তৃত কৌশলের অংশ। ‘হেয়ার ফর গুড’ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ব্যাংকটি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে, ১২০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত আছে। এই দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষায় অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে, যা বাংলাদেশের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে আসছে।