খুঁজুন
শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

টানা ১মাস জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেল ৪০ শিশু-কিশোর।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫, ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ
টানা ১মাস জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেল ৪০ শিশু-কিশোর।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং টঙ্গীবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম সোনারং গ্রামের ৬টি জামে মসজিদের শিশু-কিশোরদের নামাজে উৎসাহ জোগাতে বিশেষ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন পশ্চিম সোনারং প্রবাসী জনকল্যাণ সংস্থা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্থানীয় ওলামা পরিষদ। অংশ গ্রহণকৃত তারা কেউ শিশু, কেউ বা কিশোর,কেউ বা স্কুল, কেউ আবার মাদরাসা পড়ুয়া। দুরন্তপনার এই সময়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের নামাজের প্রতি যে টান ছিল সেটাই তারা প্রমাণ করেছে। টানা ১মাস জামাতে নামাজ আদায় করে ৪০জন শিশু-কিশোর পুরস্কার পেয়েছে ইসলাম প্রিয় এই সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

শনিবার ২৯শে মার্চ (২৮শে রমজান) যোহরের নামাজের পর পশ্চিম সোনারং পুরাতন বাজার ক্লাব মসজিদে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করা ১১৫জন জন শিশু কিশোর এর মধ্যে বিজয়ী ৩জনকে বাই সাইকেল পুরস্কার দেওয়া হয় এছাড়া আরও যারা সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করেছেন তাদের মধ্যে ৪০জনকে শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়।প্রথম স্থান অর্জন করেন আল আরাফাত, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আঃ সালাম,তৃতীয় স্থান অর্জন করেন আবিদ শেখ। পশ্চিম সোনারং জনকল্যাণ সংস্থার পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন মোঃ মিলন খান,মোঃ মহসীন মিজি,মোঃ রাসেল পোদ্দার,আবু কালাম হাওলাদার,সবুজ বেপারী,মোঃ বাবু বেপারী প্রমূখ।সংগঠনটির পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ মিলন খান বলেন,গত ১লা রমজান থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সোনারং গ্রামের ৬টি মসজিদের১১৫ জন শিশু-কিশোর নাম লেখায়। প্রতিদিন তাদের মসজিদে উপস্থিতির বিষয়টি তদারকি করতেন প্রতিটি মসজিদের ইমাম।

পুরস্কারের জন্য ১লা রমজান থেকে টানা ১মাস পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের শর্ত দেওয়া হয়। গত ১লা রমজান থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা ২৯ মার্চ শেষ হয়।প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারী প্রথম স্থান, দ্বিতীয় স্থান, তৃতীয় স্থান অর্জন করা শিশু কিশোরদের কে বাই সাইকেল ও ৪০জনকে শিশু-কিশোর শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয় হয়।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা স্থানীয় ওলামা পরিষদ মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন,আমি আশাবাদী আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আমাদের শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি উৎসাহী করে তুলবে। নামাজের মাধ্যমে আমাদের সমাজ সুন্দর হবে। যেসব শিশু-কিশোররা নিয়মিত মসজিদে আসে তাদের দেখে অন্যরাও নামাজ আদায় করতে আসবে। এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুফতি শাহাদাৎ হোসেন, হাফেজ মাহবুবুল আলম,হাফেজ মাওলানা তানভীর আহমদ, হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতি হাবিবুল্লাহ ফরাজী,মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন,মাওলানা আনোয়ার প্রমুখ,অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিলেন পশ্চিম সোনারং যুব সমাজ।

সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৫:২৯ অপরাহ্ণ
সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিরাজদিখানে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামসেদ ফরিদী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আবু সাঈদ শুভ্র, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম, সিরাজদিখান থানার (ওসি) শাহেদ আল মামুন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গুল রাওশন ফেরদৌস, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমন মধু, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা কামরুন নেছা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মরিউম আক্তার, সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসান মুকুট, উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ১৪টি ইউপির সচিববৃন্দ।

টঙ্গীবাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক দ্বিমাসিক সমন্বয় সভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
টঙ্গীবাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক দ্বিমাসিক সমন্বয় সভা

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করন (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের অধীনে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে সকল ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর দের নিয়ে দ্বিমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান ।

এতে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের মামলার বর্তমান চিত্র, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পাদনের চ্যালেন্জ সমুহ ও ইহা থেকে উত্তোরনের উপায় সহ গ্রাম আদালত আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গ্রাম আদালত সক্রিয় ও বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা পদান করেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রাম আদালত প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী লিয়াকত হোসেন ও সালাউদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ইতিবাচক প্রভাব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ইতিবাচক প্রভাব

টেকসই উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কার্যক্রমের লক্ষ্য মূলত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা, কৃষি খাতকে শক্তিশালী করা, শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ানো, তরুণ উদ্যোক্তা গড়ে তোলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ব্যাংকটি দীর্ঘমেয়াদি কমিউনিটি উন্নয়ন কার্যক্রমে অব্যাহত রয়েছে। গত পাঁচ বছরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এসব উদ্যোগের মাধ্যমে ১ কোটি ৮০ লক্ষাধিক মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যাংকিংয়ে সীমাবদ্ধ নয়। ২০২৪ সালে আমাদের সমাজসেবা কার্যক্রমগুলো দেশের নানা অঞ্চলে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে- কৃষক, যুবক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের সহায়তায় কাজ করেছে। ম্যানগ্রোভ রোপণ থেকে শুরু করে

কৃষি উদ্ভাবনে অর্থায়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে চোখের যত্ন নিশ্চিতকরণ, এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং, বিটপি দাস চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অংশীদার ও কমিউনিটিগুলো সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের চালক। এই যাত্রায় তাদের পাশে থেকে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ বছরের প্রতিটি সাফল্য কেবল সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়- প্রতিটি মাঠ, ঘর, পলিহাউস আর মৌচাকে গড়ে উঠেছে আশার

গল্প, আত্মমর্যাদা আর টিকে থাকার অনুপ্রেরণা।’
বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এই কার্যক্রমগুলো হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর বিস্তৃত কৌশলের অংশ। ‘হেয়ার ফর গুড’ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ব্যাংকটি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে, ১২০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত আছে। এই দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষায় অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে, যা বাংলাদেশের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে আসছে।