টঙ্গীবাড়ীর যানজট নিরসনে বড় ধরনের উদ্যোগ

তিন লক্ষ জনসংখ্যার বসবাস টঙ্গীবাড়ির অন্যতম সমস্যা যানজট। উপজেলা সদরের টঙ্গিবাড়ি বাজার চৌরাস্তায় প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে শুরু হয় যানজট। উপজেলার ব্যস্ততম সড়কটিতে যানজটের কারণে সমস্যায় পরতে হয় স্কুল কলেজগামী ছাত্র ছাত্রী, উপজেলা হাসপাতালে আসা রোগী, রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতরত যাত্রী, বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা, উপজেলায় আসা বিভিন্ন সেবাকরিত গন। বছরের পর বছর ধরে সমস্যার সম্মুখীনদের আশা পূরণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সর্বস্তরের জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগিতায়।
১২ই এপ্রিল শনিবার উপজেলা প্রশাসন, বাজার ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যাক্তিগন সহ সর্বস্তরের জনগণ বাজারে যানজট নিরসনে কাজ করার জন্য নিজেদের অভিবাদ ব্যাক্ত করেন।
আলোচনায় বক্তাদের বক্তব্য উঠে আসে ১৩ এপ্রিল রবিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পযন্ত কোন ট্রাক বাজারে উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবেনা। উপজেলার সকল হিমাগার কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হবে।
উপজেলা বাস মালিক সমিতির নেতা নূর হোসেন সরদারকে জানানো হয় বাস টঙ্গীবাড়ি বাজারে যেন না ডুকানো হয়।
বক্তারা আরো জানান, আটোরিক্সা বাজার থেকে বাহিরে রাখতে হবে। ৩টি পয়েন্ট করে গাড়ী রাখার ব্যবস্থা করা। গোয়ালবাড়ী বীজ সংস্কার, নির্ধারিত বাস ষ্ট্যান করা এবং সেখানে বাস রাখা।
ক্রেতাদের পক্ষে জানানো হয়, বাজারে অটো ডুকতে না পারলে ক্রেতা মালামাল কেমনে নিবেন। বৃদ্ধ ও নারীদের সমস্যা আরো বেশি।
ছোট পিকআপ ফলপটিতে নিধারীত স্থানে রেখে মালামাল পৌঁছে দিবেন।
অটোরিকশা চালকরা পেশাদারী আচরন করেন না। এডহক কমিটি করে দায়িত্ব নেয়া। বাজার ব্যবসায়ীরা পাহারাদারদের নিজস্ব তহবিল থেকে টাকা দেন সেখান থেকে লাইনম্যানদের বেতন দিতে হবে। ৫ তারিখের পর টালমাটালি অবস্থা। ঠিক মত পাহারাদারী চাদা দিতে গড়িমসি করে।
উপজেলা বিএনপি সভাপতি রিপন মল্লিক জানান, থানা সদর টঙ্গীবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী ও ক্রেতার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে যানজট নিরসন করতে হবে। এ অঞ্চলের মানুষের মূল সমস্যা এখন যানজট। গাড়ি রাখার ৩টি স্থান নিধারিত করে সমাধান করা যায়। স্বামী বিদেশি বাজারের লোক নেই জানিয়ে মহিলারা বাজার করেন তাদের বাজারে গাড়ী ছাড়া চলা কষ্টকর। তাই গোয়ালবাড়ী ব্রীজটা দ্রুত করতে হবে। বাজারে পাহারাদার বাড়িয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আনসারদের মূল্যায়ন কম করে গাড়ী চালকরা তাই কয়েকজন পুলিশ দিলে ভালো হবে।
অফিসার ইনচার্জ জানান, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি গাড়ী চালকদের নিয়েও মিটিং করতে হবে। আর বাজার কমিটি বাজার ব্যবসায়ীদের নিয়েই করতে হবে। নইলে বাহিরের লোক প্রবেশ করে খরচের নামে চাদা তোলার ব্যবস্থা করা হবে। বাজার ব্যবসায়ীরা আগে ঠিক হতে হবে সবাই দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করে। ক্যামেরা বসাতে হবে সকল ব্যবসায়ীদের দোকানে। থানায় ৩০ জন পুলিশ সট। ব্যবসায়ীরা ১টা গাড়ি কিনে দিয়েছেন।
ইউনও মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। দ্রুত গোয়ালবাড়ী ব্রীজ নির্মাণ করনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা হবে । টঙ্গীবাড়ি মৌজার দাগ নং ৭১ এ ৬ শতাংশ খাস আর দাগ নং ৭২ এ ৪৯ শতাংশ রোডসের জমি রয়েছে সেখানে বাস ষ্ট্যান্ড করতে হবে। গোয়ালবাড়ী ব্রীজের পাশে খাস জমি আছে সেখানে অটোরিক্সা ষ্ট্যান করা যায় আরেকটা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন জমিতে ষ্ট্যান করলে সমাধান সম্ভব। আমরা টঙ্গীবাড়িতে অন্তত ২ জন ট্রাফিক পুলিশ প্রাপ্তির জন্য চেষ্টা করবো। ব্যবসায়ীরা বলেছেন সহায়তা করে লোক নিয়োগ দিবেন। তবে দ্রুত বাজারের এডহক কমিটি করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ী ও অটোরিকশা চালকদের জন্য সুবিধা হয় বাজারে গাড়ী আসলে আর তাতেই যানজট শুরু হয়। ২টি বাইপাস রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে। শরিফ কোল্ড ষ্টোরেজ ও মাঝি বাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন মারিয়ালয় খালে ব্রীজ নির্মাণ হলে দক্ষিণ অঞ্চলের গাড়ি আর বাজারে ঢুকতে হবে না। আরেকটি বাইপাস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শুরু করে রংমেহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত কাজ শেষের দিকে। উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশের পুকুরের দক্ষিণ পাড়ের দোকান গুলো সরিয়ে কাজি মার্কেটের পূর্ব পাশে পুকুরের ভরাট স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে।
এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন টঙ্গীবাড়ি প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাব আহবায়ক সুমন চোকদার বয়বসায়ী আব্দুল হাই, আব্দুল মান্নান, দুলাল হাজী, মোঃ ফারুক মাঝি, মারুফ ইসলাম ছেন্টু,আক্তার হোসেন স্বপন ছাত্র প্রতিনিধিগন।
আপনার মতামত লিখুন